এবারের বোরো ফসল ঘরে তুলতে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে শ্রমিক না পাওয়া, অন্যদিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে নিজেরা একটু একটু করে কাটতে শুরু করেছেন মাঠের পাকা ধান।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, এ বছর বিশ্বনাথ উপজেলায় বুরো ধান আবাদ হয়েছে ৭৬২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনও হয়েছে ভালো। প্রতি বছর এ সময়ে ধান কাটতে আসেন আশপাশ এলাকার শ্রমিকরা। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা আসেননি কেউ। এ কারণে সময়মতো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা।
উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের কৃষকরা জানান, অধিকাংশ বোরো জমিতে মেশিনে (কম্বাইন হারভেস্টার) ধান কাটা সম্ভব হয় না। তাই ফসল কাটতে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অন্য বছর চাহিদানুসারে শ্রমিক পেলেও এবার তার ব্যতিক্রম। করোনার ভয়ে আসছে না মানুষ। সেই সাথে ঝড়-শিলা বৃষ্টিতেও রয়েছে ফসল নষ্টের আশঙ্কা। তাই নিজেরাই ধান কাটতে নেমেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রজমান আলী বলেন, অনেকেই ধান কাটা শুরু করেছেন। মেশিনেও কাটছে ধান। আশা রাখি ফসল তুলতে তেমন একটা বেগ পোহাতে হবে না কৃষকদের।